অনলাইন ডেস্ক
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।
প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে বরাবরের মতোই এবারও কিছু পণ্যের দাম বাড়বে ও কমবে।
এবারে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে…
১. মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর কর বাড়ছে।
২. চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টার ভাড়ার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে আকাশ পথে খরচ বাড়বে।
৩. সিরামিকের সিঙ্ক বেসিনের ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। মধুর বাল্ক আমদানি শুল্ক বাড়ছে। বিদেশি মধুর দাম বাড়বে।
৪. পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা শুল্ক আরোপ হবে।
৫. আসবাবপত্র কেনায় মূসক বেড়েছে। ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
৬. শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লঞ্চের টিকিট খরচ বাড়বে। আগে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ছিল, নতুন অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৬. কার ও জিপ রেজিস্ট্রেশনসহ বিআরটিএ প্রদত্ত অন্যান্য সার্ভিস ফির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৭. প্রসাধনসামগ্রীর ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আর যেসব পণ্যের দাম কমবে…
১. রেফ্রিজারেটর ও এসির কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে।
২. এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমতে পারে।
৩. স্বর্ণ আমদানিতে মূসক অব্যাহতি।
৪. দেশীয় শর্ষের তেলে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে এটার দাম কমবে।
৫. স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা বাড়ানো হবে।
৬. ইস্পাত শিল্পের রিফ্রাক্টরি সিমেন্টের ওপর শুল্ক কমানো হবে।
৭. অটোমোবাইল ফ্রিজ এসির ওপর মূসক অব্যাহতি।
৮. ডিটারজেন্টের কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।